একদিন লাশগুলো কথা বলবে
জিজ্ঞাসা করবে- কেন?
কি অন্যায় ছিল?
কার স্বার্থে?
কিসের লাভে?
একদিন লাশগুলো কথা বলবে
জিজ্ঞাসা করবে- কেন?
কি অন্যায় ছিল?
কার স্বার্থে?
কিসের লাভে?
কে দিয়েছে এত ব্যাথা?
কে দিয়েছে এত কষ্ট?
দুঃখগুলো যাক মুছে
সুখগুলো আসুক ফিরে।
যে দিল এত কষ্ট,
আসুক ফিরে তার কাছে।
আত্মার সংশোধন
-মাহফুজ খান
কি লাভ এত অহংকার করে? মুখে এক কথা, আর অন্তরে ঠিক উল্টো বা খুব খারাপ চিন্তা করা। সুযোগ পেলে বরং কারো উপকার করা ভালো। এতে আত্মার শান্তি হয়।
কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী বা আত্মীয়-বন্ধুবান্ধব নিয়েই আমাদের চলাফেরা বা আমাদের ছোট্ট জগত। একে আনন্দশীল করাটাই সবার একান্ত কাম্য হওয়া সমিচীন। কিন্তু তা না করে আমরা অন্যের উন্নতি দেখলে হিংসা করি। তাকে কিভাবে বিপদগ্রস্ত করা যায়, সেই চিন্তা করি বা সমাজে তাকে হেয় করার চেষ্টা করি। কিন্তু কেন? কখনো কি একটু চিন্তা করে দেখেছি? তার চেয়েও ভালো উন্নতির দিকে নিজেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা।
আত্মশুদ্ধির জন্য মানুষ কতকিছুই না করে। সে প্রার্থনা করে নিয়মিত, যোগ-ব্যায়াম বা ইয়োগা করে, একান্তে সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে অশ্রুসিক্ত নয়নে নিজের শুদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু পরেরদিন সে সব ভুলে যায় যখন সে দেখে তার চারপাশের চেনা মানুষটি উন্নতির দিকে চেষ্টা করছে।
সে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সমাজকে বিভ্রান্ত করে। সে সময় নিয়ে পরিকল্পনার জাল বুনে। কিন্তু তার মুখের হাসি দেখে ভিক্টিম কখনো বুঝতে পারেনা। তাহলে কি ভিক্টিম এখানে বোকা বা সরল? আমার জানতে ইচ্ছে করে।
সে উপশনালয় বা ধর্মশালায় যায়, সে দিনের পর দিন উপোস থাকে। এতকিছুর পরেও সে ভাবে অন্যকে কিভাবে বিপদে ফেলা যায়?
কিছু উদাহরণ না দিলে আমার বক্তব্য পাঠকের কাছে বোধোগম্য হবে না।
-মাহফুজ খান
মহামারী ‘করোনা’
এক আতঙ্ক ভাইরাস nCOVID-19
যার দাপটে ভীত আজ বিশ্ব
কি আমেরিকা, কি রাশিয়া
এ যেন চেয়ে থাকা সবাই পরাজিত সৈনিক
পারমাণবিক বোমায় ভীত নয় বিশ্ব
যতটা ভীত এই নোভেল করোনায়
আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়ায়
চারদিকে মৃত্যুর সংবাদ
আতঙ্কে পরিবারে
আতঙ্কে ব্যাবসা-বানিজ্যে-কর্মে
মানব জীবনের বেচেঁ থাকার লড়াই আজ
করোনার বিরুদ্ধে
লক্ষণ যদি থাকে
সর্দি, জ্বর, শুকনো কাশি এবং শ্বাসকষ্ট
সম্ভাবনা থাকে তখন আক্রান্ত হবার
শরীরের ইমিউন সিস্টেম যখন পরাজিত
ফুসফুস ভরে উঠে কোষবর্জ্যে আর ফ্লুইডে
এতে আক্রান্ত হয় ফুসফুস
যা ছড়িয়ে পড়তে পারে
লিভার কিংবা কিডনিতে
যার পরিনতি হতে পারে মৃত্যুও
তাই হতে হবে সচেতন
নিতে হবে নিরাপদ রাস্ট্রীয় পদক্ষেপ
পরিহার করতে হবে অযাচিত ভীর
হোক সেটা সামাজিক কিংবা ধর্মীয়
নিরাপদ রাখতে হবে পরস্পরকে
পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে একে-অপরকে
এই মূলমন্ত্রই হোক কোরোনা নিধনের অস্ত্র।
That place I had in life
How can I forget?
The days after days
The night after nights
The year after years
From baby to it”s growths
I was always with you
And I will surely miss you
The friend like colleagues
The mentor like you
The boss like you
The company I had in life
How can I forget?
The wonderful times I have had with you
How can I forget?
Those coffee breaks I had with you
To sharing my emotions that was lovely too
That place I had in life
I can’t forget
Goodbye is so hard to tell you
And I will surely miss you.
তোমার আমার বিবাহ বার্ষিকী
-মাহফুজ খান
যেখানে সম্পর্কটি হয়ে যায় হৃদয়ের
তাকেই ভালবাসা বলে
যা আজও এত যত্নে আছে।
একসাথে থাকবো বলেইতো
বেধেঁছিলাম এই বন্ধন।
শুভ হোক এই পথচলা
আনন্দে আন্দোলিত হোক
আমাদের ভালবাসা।
結婚記念日おめでとう!
Happy anniversary!
একুশ মোদের অহংকার
-মাহফুজ খান
অ আ ক খ
মোদের বর্ণমালা।
বাংলায় বলি,
বাংলায় লিখি,
আ মরি বাংলা ভাষা।
এই মাসেতে তোমার জন্যে
ঝরেছে অনেক প্রাণ,
রক্তে রাঙানো তুমি তাই,
একুশে ফেব্রুয়ারি।
আমরা সকলে,
এই ভাষাতে আজও বলীয়ান,
তোমার মর্যাদায় স্বীকৃত তুমি,
আজও অম্লান।
রক্ত দিয়ে কেনা তুমি আমার বর্ণমালা,
মোদের গরব, মোদের আশা,
সে যে আ মরি বাংলা ভাষা।
টীম আর্জেন্টিনা
-মাহফুজ খান
কৈশর থেকে বর্তমানে
বিশ্বকাপ ফূটবলে
প্রিয় দল, আর্জেন্টিনা।
দক্ষতায় ও নৈপুণ্যতায় আছে,
বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার,
লিওনেল মেসি।
বিশ্ববাসী দেখবে আবার,
তার স্ট্রাইকিং পাওয়ার।
চলবে সাপোর্ট,
মিলবে সমীকরণ,
জিতবে টীম।
বিদ্রোহী মজলুম
-মাহফুজ খান
আমরা মেহনতি মজলুম
পরিশ্রমের ঘামে, রক্ত পানি করা আমাদের উপার্জন,
সেখানে তোমাদের ঈগল থাবা বড্ড পাষন্ড লাগে।
আমাদের উপর তোমাদের এ নির্যাতন অসহনীয়,
মনুষ্যত্বের মর্যাদা আজ বিলীন,
এবং মানবতা এখানে বিপর্যস্ত।
কেন পিশাচ হয়ে চেটেপুটে খেয়ে যাচ্ছ আমাদের রক্ত?
এই নিপীড়িত আমরাই কি গড়ে দেইনি
তোমাদের বিশাল অর্থ-সম্পদ-বিত্ত?
কেবল নিঃস্ব হয়ে আছি আমরা।
কি অদ্ভুত, তাই না?
বড় হাস্যকর লাগে তোমার ভুতুম প্যাঁচার হাসি!
তোমাদের বিত্তশালী হয়ে ওঠাতে,
এতটুকু অবদান কি নেই আমাদের?
শ্রম কি এতটাই মূল্যহীন?
এতটাই পরিত্যাজ্য?
তোমাদের সবকিছুই আজ আমাদের শঙ্কিত করে,
ধৈর্যের দেয়ালে আমাদের পিঠ আজ স্হির।
আজ আমরা বিদ্রোহী,
বিদ্রোহ আজ আমাদের একমাত্র হাতিয়ার।
আর রক্ষা নেই, পতন তোমাদের হবেই হবে।
চেয়ে দেখো, ঐ যে একটু দূরে,
সিংহের মতো, বীরের ন্যায়,
অতি দ্রুত, ধেয়ে আসছে একজন।
ঘন অন্ধকারে বজ্রপাতের মতো বড্ড স্পষ্ট সে,
কিংবা জীবন্ত আগ্নেয়গিরির মত উত্তপ্ত।
তোমাদের দুর্নীতিগুলোকে ধ্বংস করতে,
সুনামীর মত আজ সে অদম্য এবং তীব্র।
কোথায় পালাবে তোমরা?
পালাবে কোথায়?
দেখ! সাহস তার কপালে চন্দ্র টিপ হয়ে আছে।
চেয়ে দেখ, তার চোখ আজ জলন্ত সূর্য,
মজলুমের মুখে হাসি ফোটাতে,
ধেয়ে আসছে সে, অতি দ্রুত, খুব দ্রুত।
তোমাদের রক্ত পিপাসু চোখের,
দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে,
আসছে সে, কমরেড হয়ে।
তাই সাবধান করছি! সাবধান!
তোরাই আমার দুই নয়ন
তোদের হাতই আমার হাত
তোদের পা আমার পা
তাইতো আমি স্বপ্ন দেখি
আমার আমিকে
তোদের মাঝে।